নামাযের সুন্নতসমূহ ত্যাগ করলে নামায হয় বটে, কিন্তু গুনাহগার থেকে হয় । তাই নামাযের সুন্নত পালন করা আমাদের একান্ত প্রয়োজন । নামাজের সুন্নতসমূহ নিন্মে দেয়া হল -
১. আযান দেওয়া ।
২. জামায়াতের সাথে নামায পড়া ।
৩. কাতার সোজা রাখা ।
৪. পুরুষ তাকবীর বলে দুই হাত কর্ণমূল পর্যন্ত উঠান ও স্ত্রীলোক দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠান ।
৫. ইমামের শব্দ করে তাকবীর বলা । মোক্তাদি ও স্ত্রীলোকদের মনে মনে বলা ।
৬. তাহরীমা বাঁধা (পুরুষের নাভীর উপর ও স্ত্রীলোকের বুকের উপর) ।
৭. মনে মনে ছানা পড়া (সোবাহনাকা …) ।
৮. মনে মনে তাআইজ পড়া (আইজুবিল্লাহ …) ।
৯. তাসমিয়া পড়া (বিছমিল্লাহ …) ।
১০. আলহামদু সূরা পড়া শেষ হলে আমীন বলা ।
১১. তাকবীর বলে রুকু দেওয়া (ইমাম হলে শব্দ করে) মোক্তাদি ও স্ত্রীলোকের মনে মনে বলা ।
১২. রুকুতে তিনবার তাসবীহ পড়া (সুবহানা রব্বিয়াল আজীম) ।
১৩. রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ান ।
১৪. সিজদাহ দেওয়া ।
১৫. সিজদাতে তিনবার তাসবীহ পড়া (সুবহানা রব্বিয়াল আলা) ।
১৬. দুই সিজদার মাঝে এক তাসবীহ পাঠের সময় বসা ।
১৭. ইমাম রুকু থেকে সোজা হবার সময় তাসমিয়া (সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা) বললে সেই সময় মোক্তাদির সোজা হয়ে তাহমীদ বলা (রাব্বানা লাকাল হামদ) । একা একা লামায পড়লে তাসমিয়া ও তাহমীদা দুই-ই বলিতে হয় ।
১৮. কায়দায় বসা (কায়দায় বসার নিয়ম পুরুষের বাম পা বিছিয়ে ডান পায়ের আঙ্গুলির উপর ভর করে বাম উরুর উপর বসা ও স্ত্রীলোকের ডানদিকে দুই পা বাহির করে বাম জানুর উপর বসা) ।
১৯. ফরজ নামায দুই রাকয়াতের বেশি হলে পরবর্তী রাকয়াতে শুধু আলহামদু পড়া ।
২০. দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করা ।
২১. দরূদ পাঠ করা ও সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা ।
EmoticonEmoticon