নামাজের ওয়াক্ত | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও সময়সূচি সম্পর্কিত

১. ফরজ : সূর্যোদয়ের পূর্বে চতুর্দিক ফর্সা হলে ফজরের নামায পড়া আরম্ভ করতে হয় । কিন্তু এমন সময় আরম্ভ করতে হবে যেন অজু নষ্ট হলে পুণরায় অজু করে নামায পড়ার সময় থাকে । ফজরের নামাযে চল্লিশ আয়াত পর্যন্ত কেরাত পড়তে পারে ।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে : “আসফিরু বিলফাজরি ফাইন্নাহু আ’জামুল আজরি ।”
আর্থাৎ : ফজরের নামায চতুর্দিক রৌশন হওয়ার পর আদায় করলে অধিক ছওয়াব পাওয়া যায় ।

২. জোহর : সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলিয়া পড়লেই জোহরের ওয়াক্ত হয় । তবে গ্রীষ্মকালে জোহরের নামায বিলম্ব করে আদায় করলে বেশী হওয়াব হয় ।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে : “ইজাশতাদ্দাল হাররা ফাআবরিদু বিচ্ছালাত ।”
অর্থাৎ : গ্রীষ্মকালে জোহরের নামায দেরী করে পড়বে যেন রৌদ্রের তাপ কিছুটা কম হয় ।

৩. আছর : দ্বিপ্রহর ও সূর্যাস্ত এর মাঝামাঝি সময়ই আছরের ওয়াক্ত । তবে একটু দেরী করে পড়া ভাল, কিন্তু সূর্য ডুবে ডুবে অবস্থায় মাকরূহ ।

৪. মাগরিব : সূর্য ডুবিবার পরক্ষণেই এই নামাযের ওয়াক্ত । পশ্চিমাকাশের লাল আভা বিলীন হয়ে সন্ধ্যার গাঢ় অন্ধকার হওয়ার পূর্বেই এই নামায শেষ করতে হয় ।

৫. এশা : মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এশার নামাযের ওয়াক্ত হয় । তবে রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ বাদ দিয়ে পড়াই ভাল । বিনা ওজরে দ্বিপ্রহর রাত্রির পরে পড়া মাকরূহ ।

Previous
Next Post »