এপ্রিল ফুল পালন করা ও এপ্রিল ফুলের ইতিহাস সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (অপসংস্কৃতি)

জিজ্ঞাসা : আমাদের দেশে এপ্রিল ফুল পালনের নামে যে প্রথার প্রচলন রয়েছে, তা শরীয়ত সম্মত কি ? এপ্রিল ফুল অর্থ কি এবং তার তাৎপর্যগত ইতিহাস কি ?

জবাব : এপ্রিল ফুল অর্থ হল - এপ্রিলের বোকা ।
আমাদের দেশে প্রচলিত এপ্রিল ফুল নামে যে প্রথার প্রচলন রয়েছে, এটা তদানীন্তন ইংরেজদের কু-চক্রান্তমূলক হীন তৎপরতার প্রতীক । তারা মুসলমানদেরকে বোকা বানাতে পেরে এ দিনটিকে ‘স্মরণ উৎসব’ হিসেবে জিইয়ে রাখছে ‘এপ্রিল ফুল’ – এর মাধ্যমে । তাই এপ্রিল ফুল উদযাপন করা কোন মুসলমানের জন্য জায়িয নয়  ।

ম্মর্তব্য যে স্পেনের মুসলিম স্থাপত্য ও জগোৎকর্ষিত ঐতিহ্য দেখে খৃষ্টান ও ইংরেজদের প্রাণে আর সইল না । তাই তার স্পেনকে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে ফেলল । পরিশেষে অবরুদ্ধ ও পরাজিত মুসলমানদেরকে বলা হল মসজিদে অবস্থান করলে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে । প্রাণের মায়ায় স্পেনের রাজধানী গ্রানাডার মসজিদে আশ্রয় নিলো স্পেনের মুসলমানরা । অমনি ঘটাল ইংরেজরা যুগের ভয়াবহ বিভৎস কান্ড । মসজিদে আশ্রয় গ্রহণকারী নর-নারী ও শিশুদেরকে বাহির দিয়ে তালাবদ্ধ করে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে মারল প্রতারক খৃষ্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড । আর যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তাদেরকে হত্যা করলো নির্মমভাবে । সেই কঠিন দিনটি ছিল ১৪৯২ সনের পহেলা এপ্রিল । সেদিন থেকে ইংরেজ প্রতারকরা মুসলমানদের বোকা বানানোর এ কাহিনীকে চাংগা রাখার জন্য এ দিবসটিকে ঘোষণা করলো - ‘এপ্রিল ফুল’ তথা ‘এপ্রিল মাসের বোকা’ দিবস হিসেবে । নিত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ অনেক মুলমানের সন্তানরাও না বুঝে এ দিবসটি পালন করে যাচ্ছে । তাদের এ ব্যাপারে বোধোদয় হওয়া উচিৎ । ঐতিহাসিক কারণেও এ দিবস পালন করা মুসলমানদের জন্য মোটেও বৈধ নয় । শরয়ী দৃষ্টিকোণেও যেহেতু ‘এপ্রিল ফুল’ ধোকা দেয়ার একটা রীতি মাত্র । 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন –
“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় ।”

তাই ধোকা দেয়া হারাম ।

অতএব, এপ্রিল ফুল উদ্যাপন কোন মুসলমানের জন্য কোনক্রমেই জায়িয হতে পারে না ।

[প্রমাণ : জাদীদ ফিক্বহী মাসায়িল, ১:২৬৯]
Previous
Next Post »