অনৈসলামিক তরীকায় নাম রাখলে করণীয় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (অপসংস্কৃতি)

জিজ্ঞাসা : ইসলামী নাম ছাড়া অন্য নাম যেমন – নয়ন, স্বপন, বাদল, নুপুর ও পাপ্পু ইত্যাদি রাখা ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন ? যদি রেখেই ফেলে এবং সেই নামের উপর পরিচিত লাভ করে, তাহলে তার জন্য করণীয় কি ?

জবাব : হাদীস শরীফে আছে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমায়েছেন – তোমাদের সন্তান হলে, সর্বপ্রথম তোমরা এ সন্তানের সুন্দর একটা নাম রাখ ।

[প্রমণ : আবূদাউদ শরীফ ৩৯২]

এর দ্বারা ইসলামী নাম রাখার প্রতি গুরুত্ব বুঝা গেল । আর এটাই সুন্নত তরীকা । কয়েক বৎসর পূর্ব থেকে বিশেষ করে আমাদের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে হিন্দুয়ানী প্রথা হিন্দি ও সাংস্কৃতির প্রভাব আস্তে আস্তে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশী মুসলমানদের উপর চাপাতে শুরু করে । অপরদিকে ধর্মীয় ইলম শিক্ষা করা, যা সব চেয়ে বড় গর্বের বিষয় ছিল, বাঙালীরা তা শুধু পরিহার নয়, বরং ওগুলোকে রীতিমত হেয় মনে করে এবং আল্লাহর দুশমনের বিদ্যাকে খুবই উঁচু নযরে দেখতে থাকে ।তখনই এসব ইসলামী তাহযীব ও তামদ্দুন রীতি-নীতি তাদের থেকে বিদায় নিতে থাকে । আর তাদের মধ্যে বিজাতীয় অন্ধ অনুকরণের পরিণতিতে বিজাতীর নগ্ন সভ্যতা, তাদের কৃষ্টি-কালচার ও ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে এবং পরিণতিতে ইসলামী নামের স্থলে এসব উদ্ভট । উৎকট ও বিশ্রী-কুশ্রী হিন্দুয়ানী নাম মুসলিম সমাজে প্রচলিত হয়ে পড়ে । এ প্রথার পরিবর্তন মুসলমান মিল্লাতের জন্য একান্ত জরুরী । কারণ, এসব প্রথা এভাবে চলতে থাকলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সুন্নত সমূহ বিদায় নিতে থাকবে, হিন্দুয়ানী বা বিজাতীয় প্রথা প্রতিষ্ঠিত হবে । ফলে মুসলিম মিল্লাত নীতিবিহীন এক কাংগাল জাতিতে পরিণত হয়ে পৃথিবীর মধ্যে লাঞ্ছিত ও পদদলিত হতে থাকবে ।

অতএব, যদি কোন মুসলমান না জানার কারণে এ ধরনের নাম স্বীয় সন্তানের জন্য রাখে এবং ঐ নামেই সে পরিচিত লাভ করে, তবুও ঐ নাম পরিবর্তন করে ইসলামী নাম রাখতে হবে । যেমন- হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনেক সাহাবায়ে কেরামগণের নাম এরূপভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ।

[প্রমণ : মিরকাত ১:৬৯ # বুখারী ২:৯১৪]

Previous
Next Post »