তালাকের বিভিন্ন ইসলামিক মাছআলা

১. স্বামী যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং পাগল না হয়, সে যদি তালাক দেয় তবে অবশ্যই তালাক কার্যকরী হইবে । আর যে স্বামী প্রাপ্ত বয়স্ক হয় নাই সে যদি তালাক দেয় তবে তালাক কার্যকরী হইবে না । পাগল স্বামীও তালাক দিলে তালাক কার্যকরী হইবে না । 

ঘুমন্ত স্বামীর মুখ দিয়া যদি এমন কথা বাহির হইয়া যায় যে তোকে তালাক বা আমরা স্ত্রীকে তালাক তাহলে হইবে না ।

২. কোন অত্যাচারী যদি স্বামীর উপর অত্যাচার করিয়া বলে যে, তোর স্ত্রীকে তালাক না দিলে তোকে মেরে ফেলবো । এইরূপ অসুবিধায় পরিয়া যদি সে তালাক দেয় তবুও তালাক হইয়া যাইবে । অত্যাচারী ব্যক্তি গোনাহগার হইবে ।

৩. কেহ যদি নেশা করিয়া মাতাল হইয়া যায় এবং অবস্থায় যদি তালাক দেয় এবং পরে আক্ষেপ করিতে থাকে তাতেও তালাক হইয়া যাইবে । যদি কেহ রাগে অধীর হইয়া তালাক দেয়, তবে তালাক হইয়া যাইবে, কাজেই রাগ, নেশা ত্যাগ করার অভ্যাস করিতে হইবে, আর যদি ইহা ত্যাগ করা সম্ভব না হয় তবুও তালাক শব্দ ব্যবহার করিবে না ।

৪. তালাক দেয়ার অধিকার একমাত্র স্বামীর আছে । স্বামীর পিতা বা স্ত্রীর পিতা অথবা স্ত্রীর তালাক দেয়ার অধিকার নাই । অবশ্য যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় তবে দিতে পারিবে । তালাক দেয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা স্বামীর দেয়া হইয়াছে । স্ত্রীর এ ব্যাপারে কোন ক্ষমতা নাই । স্বামী যদি তালাক দেয় স্ত্রী যদি গ্রহণ না করিয়া তবুও তালাক হইয়া যাইবে । স্ত্রী নিজের স্বামীকে তালাক দিতে পারে না । 

৫.স্বামী যদি মুখে বলে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম, এই কথাগুলো এত আস্তে বলিয়াছে যে, সে নিজে শুধু শুনিয়াছে, তাতেই তালাক হইয়া যাইবে । কাহারও সাক্ষাতে বলুক বা অসাক্ষাতে বলুক, একাই বলুক বা স্ত্রীকে শুনাইয়া বলুক সব অবস্থায়ই তালাক হইয়া যাইবে ।

তালাক তিন প্রকার । যথা :

ক) তালাকে বায়েন মোখাফফা

খ) তালাকে বায়েন মোগাল্লাযা

গ) তালাকে রজয়ী ।

Previous
Next Post »